কাঠালিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  শিক্ষকের বিরুদ্ধে সৌর বিদ্যুৎের প্লেট নিজ বাড়িতে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে

কাঠালিয়া প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া ২ নং পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের ১৬ নং তারাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ লিয়াকত হোসেন লিটন খলিফার বিরুদ্ধে ২ টি সৌর প্লেট, প্রাক প্রাথমিকের খেলনা,দোলনা সহ বিদ্যালয়ের ভাঙা লোহার বেঞ্চ ও বিদ্যালয়ের মেরামতের টাকা আত্মসাৎ,বিদ্যালয়ে অনিয়মিত,খামখেয়ালিপানা,প্রভাব খাটানো, গোপনে ম্যাানেজিং কমিটি গঠন, সহকারী শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষক সুলভ আচরন না করার অভিযোগ উঠেছে।

তিনি চাকরী হওয়া অবধি এই বিদ্যালয়ে চাকরী করে আসছে। শুরুতে চাকরী হয় প্রাক প্রাথমিকের প্রকল্পধীন সহকারী শিক্ষক পদে। পরবর্তীতে সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক প্রধান শিক্ষক বলেন আমরা দুর দুরন্ত শিক্ষক আমাদের সাথে এমন ব্যবহার করত যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না এবং আমরা যেন ওখান থেকে চলে আসি এবং তিনি যেন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান এটাই ছিল তার চাওয়া।

স্থানীয়রা জানান গত করোনা কালীন ছুটির ফাকে ২টি সৌর, প্রাক প্রাথমিকের খেলনা সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র তার নিজ বাড়িতে নিয়ে ব্যাবহার করে। এখবর তারা জানতে পারলে দাতা সদস্যের ওয়ারিশ এনায়েত হোসেন জমাদ্দার তার কাছে জানতে চাইলে বলে ভাই এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না আমার ভুল হয়ে গেছে। সাবেক ইউ পি সদস্য দোলোয়ার হোসেন সিকদার বলেন বিদ্যালয়ের লোহার মালামাল ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করার সময় আমি হাতেনাতে ধরে ফেলি এবং জমা রাখি যার কোন বিক্রির রেজুলেশন নাই। তবে আমরা একজন শিক্ষকের কাছে এগুলো আশা করি না তাকে দ্রুত অন্যত্র বদলি করার জন্য কতৃপক্ষের কাছে জোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষাক মোঃ লিয়াকত হোসেন লিটন খলিফা জানান আমি চাকুরীর শুরু থেকে সর্বক্ষণই ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান থেকে শুরু করে তাদের অভিভাবকদের সুবিধা অসুবিধা দেখা সহ তাদেরকে কিভাবে পাঠদানের মনোযোগী ও মানুষ করা যায় এটাই আমার চিন্তা চেতনা। আমি তারাবুনিয়ার ছেলে বিদায় আমার নিজ গ্রামের বিভিন্ন মানুষের সাথে জমিজমা নিয়ে কোন্দল থাকার কারণে আমার চাকরীর এই বিষয় নিয়ে মিথ্যা অপবাদ সহ আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা যে অভিযোগগুলো এনেছে এর কোনো সত্যতা নেই আমি সৌরবিদ্যুৎ সার্ভিসিং এর জন্য তারাবুনিয়া বাজারে এনেছে এবং সার্ভিসিং শেষে আমি ওখানে লাগিয়ে দিব।